প্রকাশ: রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:০৭ পিএম (ভিজিট : )
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা, ১০ দিন পর মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
তাজাখবর২৪.কম,পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যানসারে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনার ১০ দিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।মৃত ব্যক্তির নাম শের আলী (৩৫)। তিনি বরদানগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। আর তার প্রেমিক অনিক (২২) একই গ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুরুতে বিষয়টি স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরে নেওয়া হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা সন্দেহ দেখা দেয়।জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, ওই অর্থের একটি অংশ শারমিন খাতুন নিয়মিতভাবে তার কথিত প্রেমিক অনিককে দিতেন।
মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোসেন বলেন, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথনে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। এসব তথ্য যাচাই করতে শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এলাকায় আসতে বলা হয়।শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অনিক এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তার বক্তব্যে অসংগতি দেখা দিলে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। পরে শারমিন খাতুনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
স্থানীয়দের সামনে শারমিন খাতুন স্বীকার করেন, গত ৩০ নভেম্বর তিনি একসঙ্গে ১০টি ঘুমের ওষুধ স্বামীকে খাওয়ান। এরপর শের আলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি মারা যান। ক্যানসারের কারণে মৃত্যু হয়েছে ভেবে তখন দাফন সম্পন্ন করা হয়।শের আলীর মা শিরীনা খাতুন বলেন, আমার ছেলেটা অসুস্থ ছিল। ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে মেরে ফেলেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক না করে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার সুযোগ দিয়ে ফিরে যায়—এমন অভিযোগ ওঠে। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশ আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে শারমিন খাতুন ও অনিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরওয়ার হোসেন বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। তবে ঘটনার প্রেক্ষাপটে আটক দুজনকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২,২২ জুমাদাস সানী, ১৪৪৭