ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ালে ৯৯ কোটি টাকা জরিমানা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৩৮ পিএম  (ভিজিট : )
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

তাজাখবর২৪.কম,প্রযুক্তি ডেস্ক: টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করে, তাহলে অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৯৯ (নিরান্নব্বই) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় এসব বিধান রাখা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত গ্রহণের জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

অধ্যাদেশের ৬৬ক ধারায় বলা হয়- ‘টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করে— যাহা সহিংসতা তৈরি সৃষ্টি করে বা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা প্রদান করে, অথবা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ-এর উপলক্ষ তৈরি করে অথবা কৌশলগত ফাইবার নেটওয়ার্ক, ডেটা সেন্টার, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানির সার্ভার সিস্টেম ব্যাহত করে বা হ্যাকিং (অবৈধ অনুপ্রবেশ) বা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে যাহা দেশের অর্থনীতি বা আর্থিক স্বার্থে ক্ষতিসাধন করে, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে যেকোনো ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গে ব্যাঘাত করে যেকোনো স্যাটেলাইট যোগাযোগ, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা, বিমান যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, স্থল ও নৌ যোগাযোগসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা অথবা জিপিএস ব্যবস্থা, নেভিগেশন প্রতিহত করে অথবা রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ভুয়া জিও লোকেশন ও নেভিগেশন সংকেত প্রেরণ করে, অথবা অর্থনীতির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে বাল্ক এসএমএস প্রতারণা, বাল্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কল প্রতারণা বা সমন্বিত পরিচয়গত উপাত্ত প্রতারণা করে, অথবা লক্ষ্যভিত্তিক তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ দূষণ তৈরি করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে তাহা হইলে তাহার এই কাজটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৯৯ (নিরান্নব্বই) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’

‘যদি কোনো টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধের বিপরীতে কমিশনের কোনো নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পালন না করে তাহা হইলে উহাও একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য উক্ত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর অথবা অনধিক ৯৯ (নিরান্নব্বই) কোটি টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার বলিতে স্বরাষ্ট্র বা প্রতিরক্ষা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বুঝাইবে। এই ধারায় উল্লিখিত বিষয়াদি যেমন অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ প্রচেষ্টা ইত্যাদি বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হইলে তাহার বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যাই প্রণিধানযোগ্য হইবে।’

এছাড়া ধারা ৬৯ (ক)- তে বলা হয়েছে— ‘কোনো ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যন্ত্রপাতির পরিচালন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির নিকট প্রস্তাব করেন, বা উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়োক্ত ব্যক্তি সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে উক্তবার্তা প্রেরণ করেন, বা কোনো ব্যক্তি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট অশ্লীল, গুরুতরভাবে অপমানকর, হুমকিমূলক কোন বার্তা বা অন্যকোন ভীতিকর বার্তা বা কোন কথোপকথন বা ছবি বা ছায়াছবি প্রেরণ করেন, তাহা হইলে দফা (ক) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী এবং দফা (খ) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী ও প্রেরণকারীর এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত প্রস্তাবকারী বা, প্রেরণকারী বা, ক্ষেত্রমত, উভয়ে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১.৫ (দেড়) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং দফা (গ) এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’ 

এক্ষেত্রে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে ধারা ৭০- এ বলা হয়েছে— ‘কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত যদি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট এইরূপে বারবার টেলিফোন করেন যে, উহা উক্ত অন্য ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহা হইলে এইরূপে টেলিফোন করা একটি অপরাধ হইবে এবং উহার জন্য দোষী ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’অধ্যাদেশের বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ই-মেইলে—[email protected], অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়।

তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১শে কার্তিক ১৪৩২,১৪ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৭৫৫৩৭৬১৭৮,০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝