প্রকাশ: রোববার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১৭ পিএম (ভিজিট : )
আমিরুল ইসলাম ও মেহজাবীন চৌধুরী
তাজাখবর২৪.কম,বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। আত্মসমর্পণ করে তিনিসহ মামলার অন্য আসামিরা জামিন আবেদনও করেছেন। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মামলাটি দায়ের করেছিলেন আমিরুল ইসলাম। তবে এই বাদীকে মেহজাবীন চেনেন না বলে সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন। এটিকে তিনি হয়রানি হিসেবেও উল্লেখ করছেন।বাদী আমিরুল ইসলাম সম্পর্কে জানা যাচ্ছে যে, তার বাবার নাম মৃত সাদেক আলী। বর্তমানে তিনি থাকেন ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদির নামাপাড়ায়। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরের ফতেহপুরে।মামলায় সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা দেন।
এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেব কালকে দেব বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে।এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওই দিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জন তাকে গালগাল করে।তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।
এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়।এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মামলা করেন। মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।একই সঙ্গে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মেহজাবীন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, আমি মেহজাবীন চৌধুরী। আজ একটি ভূয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। আমি মনে করি, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছাড়া কিছু নয়। এই ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। যে বা যারা এমন ভিত্তিহীন মামলা করেছেন, তাদের কাউকে আমি চিনি না। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন আমি কেবল আমার অভিনয় ও পেশাগত দায়িত্বে সর্বদা নিবেদিত। আমি এমন কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেই, যেখানে আইনি জটিলতায় জড়ানোর প্রশ্ন আসে।
একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি দেশের আইন, নিয়মনীতি ও সামাজিক দায়িত্বে বিশ্বাসী উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, ইতোমধ্যে আমার আইনজীবী যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যাতে এসব গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ হয় এবং ভবিষ্যতে কেউ আর এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু করতে না পারে! একজন শিল্পী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সবসময় দেশের আইন, নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলেছি। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি, যার সাক্ষী আমার দর্শক, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
তিনি আরও লেখেন, আমি আমার সহকর্মী গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করছি, ভিত্তিহীন কোনো তথ্য যাচাই ছাড়া প্রকাশ করবেন না। এবং আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত ও পরিচিতজনদের বলবো - আপনাদের ভালোবাসা আর আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সত্যের পাশে থাকুন।
তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২,২৩ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭