তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সিদ্ধান্ত দিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এদিন দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে সমাধান আসতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনার পরও এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মেলেনি কোনও সমাধান। নোট অব ডিসেন্ট বাদ দেওয়াসহ বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। আর অন্যদিকে গণভোট ও পিআরের সুরাহা না পেয়ে আন্দোলনমুখী জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমমনারা।জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও প্রধান উপদেষ্টার সইয়ের নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এনসিপি। আর মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার অভিযোগে সনদে সই করেনি বাম জোট।বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রেক্ষাপট ও সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি জুলাই সনদে। সেখানে অঙ্গীকারনামার মাঝে রাষ্ট্রীয় ৪ মূলনীতি বাদ দিতে চাওয়া হয়েছে। এর মানে তো মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিতে চাওয়া।
জুলাই সনদ নিয়ে এনসিপির দাবি আবার দুইটি। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির এটা জারি করার রাজনৈতিক, আইনি ও নৈতিক কোনো ভিত্তি নেই। একইসঙ্গে গণভোটকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। সরকার এ দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্তে এলে আমরা স্বাক্ষর করব।এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, মৌলিক বিষয়ে দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। সব দলক রেখে সনদ বাস্তবায়নের আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ৪৮টি পয়েন্টের মধ্যেও ১৫টি ইস্যু এসেছে, সেখানে মৌলিক কিছু বিষয় আছে। সেগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট আছে। এগুলো রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে উপদেষ্টা পরিষদে বৈঠক হতে পারে। সরকার আত্মবিশ্বাসী যে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় রেখে একটি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে পৌঁছানো যাবে।