তাজাখবর২৪.কম,অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: হবিগঞ্জের সাদা সোনা খ্যাত রাবার শিল্প অনেকটা ধ্বংসের পথে। আন্তর্জাতিক বাজারে দর পতন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সঠিক নজরদারির অভাবে বছরের পর পর বছর লোকসান গুণতে হচ্ছে বাগান মালিকদের। এতে চরম শঙ্কায় রয়েছেন শ্রমিক ও বাগানিরা।গাছের মাঝামাঝি কাঁচি দিয়ে কাটা হয় গাছের বাকল। তা দিয়ে বের হয় সাদা কস। পাত্রে জমা হয় ফোটায় ফোটায়। পরে সেগুলো সংগ্রহ করে নানা পদ্ধতিতে উৎপাদন হয় রাবার।
রাবার বাগানের চিত্র এটি। গত এক যুগ আগেও হবিগঞ্জ ছিল রাবার উৎপাদনে দেশের অন্যতম জেলা। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের মূল্য কমে যাওয়ায় অনেকটাই ধস নেমেছে এ শিল্পে।বাগান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে রাবার পাচার, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির না দেয়া, আবাসন ও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যাকে দায়ী করছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, ৩০ বছর পর্যন্ত গাছ থেকে রাবার তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করা যায়। তবে বয়স বেশি হয়ে যাওয়াতে গাছগুলো থেকে পর্যাপ্ত উপকরণ সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এছাড়া অসাধুদের দৌরাত্ম্যে বিপাকে বাগান মালিক ও শ্রমিকরা।বাগান মালিকদের অভিযোগ, শিল্প পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত রাবারে ভ্যাট দিতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ। এতে লোকসানের মুখে তারা। হবিগঞ্জ রুপাইছড়া রাবার বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিয়া বলেন, বেশিরভাগ গাছের বয়স ৩২ বছর পার হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন অনেক কমে গেছে। এরওপর রাবারে ভ্যাট দিতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।উল্লেখ্য, জেলায় উৎপাদন উপযোগী সরকারি রাবার বাগান দুটি। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগান ৭টি। এসব বাগানে কাজ করছেন হাজারের বেশি শ্রমিক।
তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ই মাঘ ১৪৩১,২৫ রজব, ১৪৪৬