প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
তাজাখবর২৪.কম,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কুখ্যাত সেদনায়া কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন হাজার হাজার বন্দি। এখন কারাগারটির সুড়ঙ্গে সুড়ঙ্গে বন্দিদের উদ্ধারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দেশটির নাগরিক সুরক্ষা গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেটস। এরইমধ্যে ১৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই কুখ্যাত সেদনায়া কারাগার থেকে মুক্ত হন কয়েক হাজার বন্দি। পাঁচ তলার সমান গভীরে আটকা ছিলেন তারা। অন্ধকার কারাগারে অনাহারে অত্যাচারে জর্জরিত এসব মানুষের উল্লাসে মুখরিত হয়ে উঠে দামেস্কের বাতাস।
আঞ্চলিকভাবে কুখ্যাত এই সেদনায়া কারাগার মানব কসাইখানা হিসেবে পরিচিত। যেখানে বন্দিদের ওপর করা হতো অমানবিক অত্যাচার। মুক্তি পাওয়া অনেকেই ছিলেন কংকালসার। কোনোরকম নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেই দেয়া হতো ইলেকট্রিক শক।এমনকি নিষিদ্ধ ছিল কারাগারের ভেতর শব্দ করা। বন্ধ ছিল বাইরের জগতের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ। মাত্র কয়েক মিটার আয়তনের ছোট ঘরে একসঙ্গে রাখা হতো অনেক বন্দিকে। ছিল না শুয়ে বিশ্রাম নেয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গাও।
বিদ্রোহীদের হাতে দামেস্কের পতনের পর সেদনায়া কারাগার খুলে অনেক কয়েদিকেই মুক্তি দেয়া হয়। আসাদের দেশ ত্যাগের পরই নিখোঁজ স্বজনদের খুজতে অনেকেই ভিড় করেন কারাগারটির সামনে। কারণ অনেকের জন্যই হারানো প্রিয়জনকে খুঁজে পাওয়ার শেষ স্থান ছিল এই সেদনায়া কারাগার।
জানা যায়, সেদনায়াসহ আসাদের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায় শুধুমাত্র সেদনায়া কারাগারেই আটক ছিলেন ২০ হাজার মানুষ।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সেদনায়া কারাগারে তল্লাশি চালিয়ে ১৫টি বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। অমানবিক নির্যাতনের পর তাদের মৃত্যু হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে সিরিয়ার সরকারি কারাগারে নির্যাতন ও চিকিৎসা সেবার অভাবে ৬৯ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা:মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১,৭ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬