তাজাখবর২৪.কম,প্রযুক্তি ডেস্ক: টানটান উত্তেজনা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সবাই। শেষ পর্যন্ত এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে যাত্রা করলো মহাকাশ বহনকারী রকেট। নতুন ইতিহাস গড়ল মার্কিন বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সফলভাবেই মঙ্গলগ্রহে নাসার যমজ মহাকাশযান বহনকারী রকেট নিউ গ্লেন বুস্টার উৎক্ষেপণ করে ব্লু অরিজিন।এই সাফল্য ব্লু অরিজিনকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ পুনঃব্যবহারযোগ্য মডেলের আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে। আগামী দিনে তা বাণিজ্যিক এবং নাসার মিশনের সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।ব্লু অরিজিনের ৩২১ ফুট লম্বা নিউ গ্লেন রকেটটি ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। মিশনটি নাসার জন্য যমজ এসকাপেড মহাকাশযান এবং ভিয়াস্যাট-এর জন্য একটি প্রদর্শনী পেলোড বহন করেছে।
রকেটের প্রথম পর্যায়ের বুস্টারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমুদ্র-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম জ্যাকলিন-এ সোজা হয়ে অবতরণ করে। এই অঞ্চলটি আটলান্টিকের প্রায় ৩৭৫ মাইল ডাউনরেঞ্জে অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা এটাকে পুনরুদ্ধার পর্যায়ে একটি অসাধারণ অর্জন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।এনজি-২ নামে এই মিশনটি নিউ গ্লেন মহাকাশযানের দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম উৎক্ষেপণ কক্ষপথে পৌঁছালেও বুস্টারটি অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়।
এপির প্রতিবেদন অনুসারে, এসকেপেড মহাকাশযান মঙ্গলে পৌঁছাবে ২০২৭ সালে। এর পরের শরতে যখন পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহ আদর্শ সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকবে, তখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এসকাপেডকে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ করতে সাহায্য করবে।মঙ্গল গ্রহ প্রদক্ষিণ করার পর মহাকাশযানটি ওই গ্রহের বাইরের বায়ুমণ্ডল এবং বিক্ষিপ্ত চৌম্বক ক্ষেত্র পরীক্ষা করবে। একই সঙ্গে সৌর বায়ুর সঙ্গে এই বায়ুমণ্ডলগুলি কীভাবে মিথস্ক্রিয়া করে তা পরীক্ষা করবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই শক্তিশালী রকেটটি ৩২ তলা উঁচু। দিন কয়েক আগেই এটা উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে তাতে কিছুটা বিলম্ব হয়।এসকাপেডের প্রধান বিজ্ঞানী, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে-এর রব লিলিস উৎক্ষেপণের আগে জানান, মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সৌর বায়ুর মিথস্ক্রিয়াকে এখনকার চেয়ে আরও ভালোভাবে বুঝতে চাইছেন তারা।
তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯শে কার্তিক ১৪৩২,২২ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭