প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী থেকে বছরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন লটকন বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
তাজাখবর২৪.কম,নরসিংদী: শিল্পপণ্যের পাশাপাশি নরসিংদীর অর্থনীতি পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে লটকন। দেশের সর্বোচ্চ লটকন উৎপাদনকারী এ জেলায় গত পাঁচ বছরে এ ফলের বাগান বেড়েছে ১২ শতাংশ। কৃষি বিভাগ বলছে, বছরে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন ফল রফতানি হচ্ছে বিদেশে।
নরসিংদীতে গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে টন-মিষ্টি এ ফল লটকন। গাছের মগডাল থেকে কাণ্ডের নিচ পর্যন্ত এসেছে ফলন। প্রতি বছর চাহিদা বাড়ায় জেলায় বাড়ছে ফলটির বাগানের সংখ্যা।কৃষি বিভাগ জানায়, গত পাঁচ বছরে এ ফলের বাগান বেড়েছে ১২ শতাংশ। চলতি মৌসুমে লটকনের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি বাগানিরা। তারা বলেন, ২০ হাজার টাকা খরচে দু থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। ফলটির চাহিদাও বেশ ভালো।
এদিকে, লটকন বেচাকেনাকে ঘিরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নরসিংদীর মরজাল, চৈতন্য, কামারটের এবং সৃষ্টিগড়ে বাজার এখন জমজমাট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ভিড় করছে এসব বাজারে। বর্তমানে প্রতি মণ লটকন আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে দুহাজার টাকা থেকে প্রায় আট হাজার টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা ও বিক্রেতা জানান, নরসিংদী জেলার লটকনগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর স্বাদও মিষ্টি। তাই এর চাহিদাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।কৃষি বিভাগ বলছে, নরসিংদী থেকে বছরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন লটকন বিদেশে রফতানি হচ্ছে। নরসিংদীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন,
বিদেশে লটকনের অনেক চাহিদা রয়েছে। সরকারিভাবেই প্রতিবছর ৪০ মেট্রিক টন লটকন বিদেশি রফতানি হয়। বেসরকারিভাবে এর পরিমাণ আরও বেশি।কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, নরসিংদীতে বর্তমানে দুহাজার হেক্টর জমিতে লটকনের বাগান রয়েছে। এখান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লটকন, যার বাজার মূল্য ৩১৫ কোটি টাকার মতো।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২ ভাদ্র ১৪৩১,০২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬