প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
তাজাখবর২৪.কম,খেলাধুলা ডেস্ক নিউজ: নাডা হাফেজ প্যারিসে এসেছিলেন নিজের তৃতীয় অলিম্পিক মিশন নিয়ে। মিশরের এই ফেন্সারের তৃতীয় অলিম্পিক মিশন অবশ্য থেমে গেছে দ্বিতীয় ম্যাচেই। শেষ ষোলোয় হেরে বিদায়ের পর অবশ্য ফাঁস করেছেন চমকে যাওয়ার মতো খবর। জন্ম দিয়েছেন বিস্ময়ের। এবারের অলিম্পিকে যে সাত মাসের গর্ভাবস্থা নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন নাডা হাফেজ।২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক ও ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার ধারাবাহিকতায় এবারের প্যারিস অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন নাডা হাফেজ। র্যাঙ্কিংয়ের ৪১ নম্বরে থাকা এই মিশরীয় ফেন্সার প্রথম ম্যাচে হারান র্যাঙ্কিংয়ের সপ্তম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই বিদায়ঘণ্টা বেজে ওঠে তার। শেষ ষোলোয় হেরে যান কোরিয়ার জন হাইয়ংয়ের কাছে।প্রথম ম্যাচ জিতে খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে উঠেছিলেন নাডা। কিন্তু বিদায়ের পর দর্শকদের দিকে আবেগময় ভঙ্গিতে হাত নাড়েন তিনি।
তবে বড় চমকটা দেন এরপর সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে।নাডা লিখেছেন, ‘পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখলেও আমরা সঅলে ছিলাম তিনজন! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় থাকা আমার ছোট্ট সন্তান।তিনি আরও লিখেছেন, ‘শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে পেরে নিজের দারুণ গর্বের কথা জানাতেই এই পোস্ট করছি। এবারের অলিম্পিক আমার জন্য বিশেষ। আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান, কিন্তু এবার আমি বয়ে নিয়ে গেছি ছোট্ট এক অলিম্পিয়ানকেও।২৬ বছর বয়সী এই ফেন্সার আরও জানান, তার দেশের নারীদের উজ্জীবিত করতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।তিনি আরও লিখেছেন, ‘গর্ভাবস্থার এই রোলারকোস্টার যাত্রা বেশ কঠিন। কিন্তু জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনো দিক থেকে কম তীব্রতর ছিল না। এটা আমার কাছে মূল্যবান।’অলিম্পিকে এই লড়াইয়ের সুযোগ পাওয়ার পেছনে স্বামী ও পরিবারের বাকি সদস্যদের কৃতিত্বও দেখছেন নাডা, ‘আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামী (ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি এবং এত দূর আসতে পেরেছি।’
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৩ মহররম, ১৪৪৬