বরিশালে ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তাজাখবর২৪.কম,বরিশাল: গত কয়েকদিন ধরেই বরিশাল বিভাগের নদ-নদীগুলোর পানি জোয়ারের সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। আবার ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নদীর মধ্যে ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া এক তথ্যে জানা যায়, বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নদীর মধ্যে ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর বা পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় অনেকের বসত-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৯ মহররম, ১৪৪৬