কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প : টেকলিং কোম্পানীর কর্মকর্তা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা:
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প : টেকলিং কোম্পানীর কর্মকর্তা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী,তাজাখবর২৪.কম,কক্সবাজার: নিজের লোক দিয়ে সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলে নিজেই ঠিকাদারীর কাজ করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জাপানি আর্ন্তজাতিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তোশিবার সাবকন (টেকলিং) কোম্পানির সেফটি অফিসার মাসুদ রানা নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।তার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দায়ের করা কমিশন বানিজ্যসহ পাহাড়সম নানা দুর্নীতির অভিযোগের নথি হাতে এসেছে। এছাড়া ঘুষের বিনিময়ে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফলে স্থানীয় যুব সমাজ ও ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অসাদু কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা।জানা যায়, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়ী এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প অন্যতম। জাপানী সংস্থা জাইকার অর্থায়নে নির্মাণাধীন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক ও স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, জাপানি আর্ন্তজাতিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তোশিবার সাবকন (টেকলিং) লিমিটেডের কর্মকর্তা মাসুদ রানা দুর্নীতিতে জড়িত।স্থানীয় সাব ঠিকাদার ও বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, টেকলিং কোম্পানীর সেফটি অফিসার মাসুদ রানা ও স্থানীয় এক সাব ঠিকাদারের নেতৃত্বে প্রকল্পে গড়ে তুলেছে একটি অঘোষিত সিন্ডিকেট। তিনি নিজেদের লোকজনের নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলে বাগিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন সাব-ঠিকাদারী কাজ। এ সুবাদে সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের সাথে চুক্তি ভিত্তিক কমিশন বানিজ্যের কথা থাকায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যদি ও মেটেরিয়াল মালামাল সাপ্লাই দিচ্ছে নিম্নমানের। এতে টেকলিং কোম্পানির সেপটি অফিসার মাসুদ রানাসহ দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা কর্ণপাত করছেনা।
এদিকে, টেকলিং কোম্পানির তত্তাবধানে টেন্ডারের কাজ শেষ করে বিল নিতে গেলে তাকে দিতে হয় প্রতি লাখে ২০ হাজার টাকা করে কমিশন। কেউ এ কমিশনের টাকা দিতে গড়িমসি করলে, তাদের পরবর্তীতে আর কাজ দেয়া হচ্ছে না। ভূক্তভোগীরা জানান, লাভ হোক বা না হোক, তাকে কমিশনের টাকা দিতে হয়। এছাড়া সাব-ঠিকাদারদের কাজ দিতে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয় বলে ও অভিযোগ উঠেছে।উল্লেখ, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে টেকলিং কোম্পানি থেকে সম্প্রতি কৌশলে লাখ লাখ টাকার ক্যাবল ও তামা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ক্যাবল বাঁশখালী পুলিশের হাতে আটক হলেও স্থানীয় সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন লবিং করে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। ক্যাবল- তামা পাচারের চট্ট মেট্টা-শ ১১ -৩৪৮২ ডাম্পার গাড়ীটি আটক করলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন অনেকে। মুলত ঢাকা অফিসের কথা বলে ক্যাবল ও তামা গুলো পাচার করে সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের সাথে মিলেমিশে লাখ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে টেকলিং কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে টেকলিং কোম্পানির সেফটি অফিসার মাসুদ রানা দাবী করে বলেন, ঠিকাদারী কিংবা কমিশন বাণিজ্যে বা অন্য কোন কাজে তিনি জড়িত নন। তিনি আরো বলেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪, ৩১ আষাঢ় ১৪৩১,৮ মহররম ১৪৪৬