প্রকাশ: সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
জয়া আহসানের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত
তাজাখবর২৪.কম,বিনোদন নিউজ ডেস্ক: অনিন্দ্য সুন্দরী আবার কখনো-বা চিরসবুজ এমন তারকার কথা মনে হলেই প্রথমে যে মুখ ভেসে আসে তিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। আজ তার শুভ জন্মদিন।বাংলাদেশ ও কলকাতায় জয়ার অবস্থান প্রথম সারিতে। দুই বাংলার নির্মাতা-প্রযোজক এবং দর্শকের কাছে জয়া আহসানের জনপ্রিয়তা একদম উপরের দিকে। একের পর এক সফল ও দর্শকনন্দিত সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী।বর্তমানে এপার বাংলার কাজের চেয়ে ওপার বাংলাতেই কাজের পরিমাণ তার বেশি। অভিনয়কে যিনি ধারণ করেছেন প্রতিটি শিরা-উপশিরায়, যেন অভিনয়ের জীবন্ত এক দেবী জয়া।ছোটবেলা থেকে নাচ-গানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন জয়া। প্রাতিষ্ঠানিক অভিনয়টা না শিখলেও পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন।
জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়ে। নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় দিয়ে দর্শকজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। মডেল হয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপনের।গুণী এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে।‘ব্যাচেলর’ সিনেমার পর ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’।জয়া বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেন। যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্য সিনেমার বিরতি বেশ লম্বা।
প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। তবে ২০১১ সালে জনপ্রিয়তা আর প্রশংসা সব একসঙ্গে নিজের করে নেন জয়া। সে বছর তিনি তানিম নূর পরিচালিত ‘ফিরে এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘গেরিলা’-য় অভিনয় করেন।‘গেরিলা’ তাকে এনে দেয় সাফল্যের স্বাদ। এ সিনেমার জন্য জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।‘গেরিলা’র পর কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নজরে আসেন জয়া আহসান। সেই সুবাদে তিনি টালিউডেও কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তরুণ নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমায় কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতায়ও আলোচিত হন।
জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। অভিনয়ের দক্ষতায় জয়া যেমন মুগ্ধ করেছেন সবাইকে, তেমনি ভারী হয়েছে তার পুরস্কারের পাল্লাও।এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন।ব্যক্তিজীবনে প্রাণিপ্রেমী অন্য এক জয়াও রয়েছে। আর এ জন্য তিনি পেয়েছিলেন সম্মাননাও। দুই বাংলায় অসামান্য জনপ্রিয়তা ও সাফল্য অর্জন করা এই অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ। বয়স যেন আজও আটকে আছে তার সৌন্দর্যে।ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে জয়া ছিলেন মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সহধর্মিনী। ১৪ মে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে ফয়সালের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জিলহজ্ব ১৪৪৫