তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে গরুপ্রতি অদৃশ্য ভাড়া দিতে হচ্ছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। যা বাড়তি ভোগান্তিতে ফেলেছে পশু বিক্রেতাদের। বিষয়টি নিয়ে দু-একজন অভিযোগ জানালেও ভয়ে এড়িয়ে গেছেন অনেকে।দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা কোরবানির গরু রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বেচাকেনা ভালো না হওয়ার মধ্যেই খামারিদের নিঃস্ব করছে হাটের অদৃশ্য ভাড়া।ঢাকা পর্যন্ত একেকটি বড় আকারের কোরবানির পশু নিয়ে আসতে গাড়ি ভাড়া প্রতি গরু ২ হাজার, গো-খাদ্য বাবদ ৩ হাজার ও সঙ্গে আসা প্রতি জলবলের জন্য দিনে ৩ হাজার টাকাসহ ৫ দিনে মোট খরচ দাঁড়ায় ২০ হাজার টাকা। তবে এখানেই শেষ নয়, গাবতলী হাটে অঘোষিতভাবেই নেয়া হচ্ছে আকার অনুযায়ী গরুপ্রতি ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জায়গার ভাড়া।গাবতলীতে বড় আকারের গরু নিয়ে আসা মনির হোসেন নামে এক ব্যাপারী সময় সংবাদকে জানান, ‘এসব বড় গরু রাখার জন্য পুরো ঈদ পর্যন্ত একটা চুক্তি হয়েছে। তাতে সব হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেছে, গরুপ্রতি এই কয়েকদিনে আমার খরচ পড়বে এখন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া মাঝারি আকারের গরুর ব্যাপারীরা জানান, গরুপ্রতি এই ঈদে তাদের শুধু হাটের জায়গাবাবদ খরচ পড়ছে ১৮-২০ হাজার টাকা, অন্যদিকে ছোট গরুর জন্য ১৩ হাজারে ঠেকবে এই খরচ। গত বছরও এই অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়েছে তাদের। তবে বছরের ব্যবধান এই টাকার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীরা। নিয়ম না থাকলেও বাধ্য হয়েই এ অর্থ দিতে হচ্ছে পশু মালিকদের। তবে ইজারাদারদের ভয়ে অনেকেই আবার গণমাধ্যমের কাছে এ ব্যাপারে কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানান।হাসিল আদায় ছাড়া অন্য কোনোভাবে হাট থেকে আয় করার নিয়ম আছে কিনা, তা জানতে চাইলে কোনো জবাব মেলেনি হাট কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি গড়ায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে। যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় সংস্থাটি।
এ ব্যাপারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরাফাত ইসলাম বলেন, হাট ইজারাদাররা অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করছেন কিনা, সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ধরনের কিছু হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।রাজধানীর শুধু গাবতলীর হাটেই কোরবানি উপলক্ষে আসে দুই লক্ষাধিক বিভিন্ন পশু। বিক্রি না হলেও পশু মালিককে দিতে হয় হাটের এই অদৃশ্য ভাড়া।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪, ১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জিলহজ্ব ১৪৪৫