সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেলেন ২ দপ্তরসহ ২৮ কর্মকর্তা
প্রকাশ: সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
 বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেলেন ২ দপ্তরসহ ২৮ কর্মকর্তা

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেলেন ২ দপ্তরসহ ২৮ কর্মকর্তা

তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা: ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পেলেন প্রশাসনের ২৮ কর্মকর্তা ও দুই সরকারি দপ্তর। ২৮ কর্মকর্তারার মধ্যে ২৩ জন দলগত এবং ব্যক্তিগত শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন পাঁচ কর্মকর্তা।
৩১ জুলাই সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৩ কর্মকর্তা, একটি মন্ত্রণালয় ও একটি সরকারি হাসপাতালের কাছে পদক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন। পুরস্কার প্রদান পর্বটি পরিচালনা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
২০১৬ সাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হতো। গত বছর থেকে ‘জনপ্রশাসন পদক’ এর নাম বদলে হয় ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’। প্রতি বছর ২৩ জুন ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপনের অংশ হিসেবে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়। এবার ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ ক্যাটাগরিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পেয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে দলগতভাবে এই পদক পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবীর, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির উপপরিচালক নূর-এ-আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন (বর্তমানে বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাশ।

খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব) কে এম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো ও খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার (মাগুরা জেলার সহকারী কমিশনার) শেখ নওশাদ হাসান ‘উন্নয়ন প্রশাসন’ ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক জিতেছেন চার কর্মকর্তা। এদের মধ্যে রয়েছেন- শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) মো. পারভেজ হাসান, শরিয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমানে অধিদপ্তরের উপপরিচালক) মো. মতলুবর রহমান, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন।

‘পরিবেশ উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন- হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি (বর্তমানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব) ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারওয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।

‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে রয়েছেন- গাইবান্ধার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক মো. আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ও পলাশবাড়ির উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।

‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে পদক পেয়েছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান, ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে র‌্যাব-১১ এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন, ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পেয়েছেন।

পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে।

ব্যক্তিগত অবদানের জন্য ২ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে এবং নগদ পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা সদস্যদের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঔপনিবেশিক শাসনকালের সিভিল সার্ভিসের যে সূচনা হয়েছে, কালের বিবর্তনে সেখানে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা আর শাসক নন, সেবক। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

এ পদকের মাধ্যমে সেবা প্রদান পদ্ধতিতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ পদক প্রাপ্তি কর্মকর্তাদের গতিশীল, দায়িত্বশীল ও উদ্যোমী করে তুলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

জনপ্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিতকরণ ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অধিকতর গতিশীল করতে সরকার ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই প্রথমবারের মতো জনপ্রশাসন পদক দেয়। ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপনের অংশ হিসেবে এই পদক দেওয়া হয়। পদক দিতে ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা ২০১৫ (২০১৬ সালে সংশোধিত)’ করা হয়। এ বছর সেই নীতিমালা বাতিল করে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য দেন।


তাজাখবর২৪.কম: সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৬ শ্রাবণ ১৪৩০,১২ মহররম ১৪৪৫






« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৭৫৫৩৭৬১৭৮,০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝