বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুরে ভূয়া সনদে শিক্ষকতা করার অভিযোগ
প্রকাশ: বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুরে ভূয়া সনদে শিক্ষকতা করার অভিযোগ-1

শেরপুরে ভূয়া সনদে শিক্ষকতা করার অভিযোগ-1

সুমন কুমার দে,তাজাখবর২৪.কম,শেরপুর: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম এর বিরুদ্ধে ভূয়া সনদ পত্র দাখিল করিয়া চাকরি করার অভিযোগ তুলেছে ওই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. নুর হোসেন জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম কে প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত একখানা পত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্রে উল্লেখ করেন যে, ওই শিক্ষকের মূল সনদ পত্র দাখিলের জন্য নিদের্শনা দেন। এতে করে ওই জাল সনদে চাকরি করা সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম অপরাগতা শিকার করলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হন যে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম ভূয়া সনদে চাকরি করিয়া আসিতেছেন।
বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. নুর হোসেন সাক্ষরিত একখানা পত্র পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর বরাবর দাখিল করেন। পরবর্তীতে পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর থেকে ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয় বরাবর একখানা পত্র প্রেরণ করেন যাহার স্মারক নং: জাতী:বি:/পরী:/সনদ/৪৪৯/২০০৫/৭০৪৭ তাং-১৭-০৫-২০২৩ইং
উক্ত পত্রে পরিক্ষার নিয়ন্ত্রক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ওই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেমের স্কুলে দাখিলকৃত সকল সনদ পত্র ভূয়া এবং জাল বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. নুর হোসেন মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর একখানা পত্র প্রেরণ করেন পত্রে বিষয় উল্লেখ করেন ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মোহাম্মদ আবুল হাসেম এর এমপিও বাতিল করার জন্য সুপারিশ করেন। উক্ত পত্রে আরো উল্লেখ করেন যে শেরপুর জেলা শ্রীবরদী উপজেলাধীন ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মোহাম্মদ আবুল হাসেম পিতা- রহেদ আলী, মাতা- মোছা- হালিমা বেগম, তিনি বিগত ০১-০১-২০১৩ খ্রী: ৬ হাজার ৪ শত টাকার মূল বেতনে শিক্ষকতা মহান পেশায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে তা পে-স্কেলে ১২ হাজার ৫ শত টাকাতে উন্নতি হয়। এবং ২০১৫ সালে প্রতারক জাল সনদ দাখিলকারি সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম ভূয়া ও অবৈধ বিএড সনদ দাখিলের মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকা মূল বেতনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে অদ্যাবদি শিক্ষকতা করিয়া আসিতেছেন। স্কুল সূত্র জানায়, বিগত ২০২৩ সালে একই স্কুলে ছাত্রছাত্রী অবিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. নুর হোসেন বিগত ১০-০৫-২৩ইং তারিখে স্মারক নং ই,আ,ম,উ,বি,-২০২৩/৭৬৮ (১) নং- স্মারকে তার বিএড সাময়িক সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটোকপিসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রমাণ করার জন্য প্রধান শিক্ষক  আবেদন করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত সনদ যাচায় করে প্রধান শিক্ষক বরাবর এক খানা পত্র প্রেরণ করেন উক্ত পত্রে ওই সহকারী শিক্ষকের সনদ সঠিক নেই বলে উল্লেখ করেন।
ফলে ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. নুর হোসেন জাল সনদকারি সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেম এর বিরুদ্ধে তার এমপিও বাতিল সহ বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানিয়ে মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর আবেদন দাখিল করেন।
এব্যাপারে ইন্দিলপুর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. নুর হোসেনের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেমের দাখিলকৃত জাল সনদের বিষয়টি এ প্রতিনিধিকে শতভাগ নিশ্চিত করেন।
এবিষয়ে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

তাজাখবর২৪.কম: বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ ২৮ আষাঢ় ১৪৩০,২৩ জিলহজ্ব ১৪৪৪
ফাইল ফটো-





« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৭৫৫৩৭৬১৭৮,০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: এ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝