
তাজাখবর২৪.কম,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার রকেট হামলায় তুরস্কের তিন নাগরিক নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২১ নভেম্বর) সীমান্তবর্তী তুরস্কের কারকামিস জেলায় এ রকেট হামলা চালানো হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, সোমবার সিরিয়া থেকে ছোড়া অন্তত পাঁচটি রকেট তুরস্কের কারকামিস জেলায় আঘাত হানে। এতে স্থানীয় একটি স্কুলও, দুটি বাড়ি ও একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, কারকামিসের একটি স্কুলের জানালা ভেঙে গেছে ও একটি ট্রাকে আগুন জ্বলছে।
এর আগে, রোববারও সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেট সীমান্ত ক্রসিংয়ে আঘাত হানলে তুরস্কের ছয় পুলিশ সদস্য ও দুই সেনা আহত হন।
রোববার সিরিয়ায় কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) ঘাঁটিতে বিমানহামলা চালায় তুর্কি বিমান বাহিনী। এর জবাবেই কুর্দি যোদ্ধারা উত্তর সিরিয়া থেকে রকেটগুলো ছুড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একই দিনে উত্তর ইরাকেও দ্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) হেডকোয়ার্টারে বিমানহামলা চালায় তুরস্ক। সিরীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, রোববার তুরস্কের হামলায় সিরিয়ার অন্তত ৩১ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
১৩ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও ৮১ জন আহত হন। ওই হামলায় পিকেকে জড়িত বলে দাবি করে এরদোয়ান প্রশাসন। যদিও ইস্তাম্বুল বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পিকেকে। ওয়াইপিজিকে সিরিয়ায় পিকেকের সহযোগী হিসেবে দেখে তুরস্ক।
ইস্তাম্বুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সন্দেহভাজন এক নারীর দুটি ছবি প্রকাশ করে। তাছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে ভিডিওসহ ওই নারীর তৎকালীন কর্মকাণ্ড দেখানো হয়।
ভিডিও প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, ওই নারী ইস্তাম্বুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউয়ের ফুল গাছের গোড়ায় একটি প্যাকেট রেখে দ্রুত সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরই ঘটে বিস্ফোরণ।
এর আগেও ইস্তাম্বুলসহ তুরষ্কের অন্য শহরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায় পিকেকেসহ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো সস্ত্রাসী সংগঠন এমনকি ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পরপর কয়েকেটি বড় ধরনের হামলার ঘটনার ঘটে।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯,২৫ রবিউসসানি ১৪৪৪