চন্ডিদাস-রজকীনির ভাষ্কর্য নির্মাণ করে সাড়া জাগালেন কেন্দুয়ার কলেজ ছাত্র কংকর
প্রকাশ: রোববার, ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
রাখাল বিশ্বাস, তাজাখবর২৪.কম,কেন্দুয়া প্রতিনিধি: নেত্রকোণা সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কংকর চন্দ্র সরকার গত শারদীয় দূর্গ পূজায় জীবনের প্রথম শখ করে নির্মাণ করেন দূর্গা প্রতিমাসহ অন্যান্য প্রতিমা। কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের ভগবতীপুর গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র সরকারের পুত্র কংকর। তার বাড়ির পাশে পরিমল দত্তেরবাড়ি পূজা মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণ করেন তিনি। পেশাদার নির্মাতাদের চেয়ে কোন অংশে প্রতিমা নির্মাণের সৌন্দর্য কম হয়নি বলে জানান, ওই মন্ডপের সভাপতি সুমন চন্দ্র দত্ত। সুমন চন্দ্র দত্ত আরও জানান, কংকর শুধু দূর্গা প্রতিমাই নির্মাণ করেননি, তিনি নির্মাণ করেছেন দানবীর রাজা হরিশ্চন্দ্র, রাণী শৈব্যা এবং মৃত পুত্র রুহিতাস্য। সবচেয়ে আকর্ষনীয় ভাষ্কর্য নির্মাণ করেছেন অমর প্রেম কাহিনীর প্রেমিক-প্রেমিকা চন্ডিদাস ও রজকীনির ভাষ্কর্য। মন্ডপের পাশের পুকুরে পানির উপর নির্মিত চন্ডিদাস রজকিনীর মুর্তি দেখতে প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী আসেন পুকুর পাড়ে। এ প্রতিনিধি চন্ডিদাস-রজকিনীর ভাষ্কর্য দেখতে ভগবতীপুর গ্রামে গেলে কথা হয় শিল্পী কংকর সরকারের সাথে।
কংকর জানান, তিনি নেত্রকোণা সরকারি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ালেখা করেন। করোনা মহামারীর জন্য কলেজ বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে আছেন। আসন্ন দূর্গা পূজায় অনেক পূজারী প্রতিমা নির্মাণের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমসিম খায়। তাই শখের বসে প্রতিমা নির্মাণ করলাম। তাছাড়া একান্ত আবেগ, ভাললাগা থেকে চন্ডিদাস রজকিনীর অমর প্রেমের প্রতি শ্রদ্ধায় নির্মাণ করলাম চন্ডিদাস-রজকিনীর ভাষ্কর্য। এতে প্রতিদিনিই মানুষের প্রশংসা ও আশির্বাদ পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। এ কাজে আমার বাবা-মা ছাড়াও লিটন চন্দ্র সরকার ওস্তাদের মত সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে ভাষ্কর্য শিল্পকে পেশা হিসেবে নিতে চাই।
তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা রোববার, ০৮ নভেম্বর ২০২০, ২৪ কার্তিক ১৪২৭ , ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪২