শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে ধ্বস
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে ধ্বস

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে ধ্বস

রফিকুল ইসলাম,তাজাখবর২৪.কম,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় দেড় বছর থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বড় ধরনের ধ্বস নেমেছে রাজস্ব আয়ে। রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে সোনামসজিদ কাস্টমস। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নানান হয়রানি ও পণ্য খালাসে ধীর গতির কারণে পচনশীল পণ্য ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীক সুবিধার কারণে হিলি ও ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমদানিকারকরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমদানিকারক মেসার্স সাহেলা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সুজার এন্টারপ্রাইজের ও মেসার্স নুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীরা বর্তমানে ভেমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছে।
সোনামসজিদ কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৭২ কোটি ৩৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের ৬ মাসের সোনামসজিদ কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে।
সোনামসজিদে দায়িত্বরত সহকারী কাস্টমস কমিশনার সোলাইমান হোসেন সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ফল আমদানি না হওয়ার কারণে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে সোনামসজিদ কাস্টমসে আমদানিকৃত সব ধরনের পণ্যের শুল্কমূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি নানামুখী হয়রানির ফলে আমদানিকারকরা সোনামসজিদ বন্দর ছেড়ে অন্য স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছে। এসব কারণে সোনামসজিদে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, ফলসহ পচনশীল সবধরনের পণ্যে রাজস্ব প্রদানে ব্যবসায়ীদের ১০ শতাংশ ছাড় দিত কাস্টমস কতৃপক্ষ। মোয়াজ্জেম হোসেন রাজস্ব বিভাগের কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর ১০ শতাংশ ছাড় বন্ধ করে দেন। ছাড় না পেয়ে এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা।
সূত্রটি আরো জানান, ভোমরা ও হিলি বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফল জাতীয় পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য যথা সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড়করণের বিলম্ব করে থাকে। এছাড়াও আমদানীকৃত পণ্য ছাড়ে কাস্টমসের কড়াকড়ি, নিয়মিত পণ্য ছাড়ে বিলম্ব করার কারণে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমদানিকারকরা। সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, শুরু থেকে এ বন্দরটি ছিল ফল ও পাথর আমদানির জন্য জনপ্রিয়। ১৯৯২ সাল থেকে প্রায় দুই যুগ এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ ট্রাক ফল আমদানি হত। তিনি জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নানান হয়রানি ও পণ্য খালাসে ধীরগতির কারণে ফল জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করবে। রাজস্ব আদায়ে শুধু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নয়, পূর্বের ন্যায় অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হবে সোনামসজিদ কাস্টমসে।
সোনামসজিদে দায়িত্বরত সহকারী কাস্টমস কমিশনার সোলাইমান হোসেন জানান, বন্দরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাস্টমসের নিয়মনীতি মোতাবেক আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড়করণ করা হয়। এ ছাড়করণের সময় নিয়মনীতি মেনে কড়াকড়ি আরোপ করায় কিছুটা আমদানি কমে গেছে। তবে বন্দরে কোন পণ্য ছাড়ে অনিয়ম হচ্ছে না।

তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ২৮ পৌষ ১৪২৪


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝