শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

ফলোআপ: অবশেষে মেলান্দহের ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কের পরিমাপ
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ফলোআপ: অবশেষে মেলান্দহের ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কের পরিমাপ

ফলোআপ: অবশেষে মেলান্দহের ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কের পরিমাপ

মো.শাহ্ জামাল,তাজাখবর২৪.কম,জামালপুর: অযত্নে অবহেলার শিকার ব্রিটিশ আমলের নির্মিত মেলান্দহের নয়ানগর ইউপি থেকে চরপলিশা পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কের পরিমাপ করা হয়েছে।
১৩ নভেম্বর সোমবার পাট-বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মির্জা আজম এমপি’র নির্দেশে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান রাস্তার পরিমাপ করেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পত্রপত্রিকায় এই ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কের বেহাল দশার চিত্র প্রকাশিত হবার হয়েছিল। এতেই শেষ নয়; বহুকাল যাবৎ এলাকাবাসী ৩কি:মি: রাস্তাটি পূণ:নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছিলেন।
জানা গেছে, ঝিনাই সেতুর পশ্চিমে নলেরচর তালতলা হয়ে রেলক্রসিং বা ঘুন্টিঘরের সামান দিয়ে ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কটি সাধুপুর-দাগি গ্রাম হয়ে মেলান্দহ রেলস্টেশন পর্যন্ত সংযোগ হয়েছে। এটি জামালপুর থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত সংযোগ হয়েছে। জামালপুর, শেরপুরের একাংশ, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জবাসির একমাত্র চলাচলের রাস্তা ছিল এটি। একসময় ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কটিই ছিল একমাত্র ভরসা। জামালপুর সাবডিভিশনাল অফিস রাস্তাটি বাস্তবায়ন করে।
ভৌগোলিক কারণে জামালপুরে গড়ে ওঠে পোর্ট বা বন্দর নগরী। জল-স্থল পথে বহুজাতিক পণ্য দেশে-বিদেশে বেচা-কেনার সাথে পাল্লা দিয়ে গড়ে ওঠায় এর নাম দেয়া হয় ডিস্ট্রিকপোর্ট সড়ক।
ব্রিটিশ সরকার ডিস্ট্রিক্টপোর্ট সড়কের পাশেই দাগি নামক রেলস্টেশ নির্মাণ করে। কিন্তু স্টেশন এলাকা মাটির নিচে দেবে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। দাগি রেল স্টেশনটি প্রায় ১ কি:মি: উত্তরে স্থানান্তরিত হয়। ইদানিং দাগির নাম পরিবর্তন করে মেলান্দহ রেল স্টেশন করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার জনদুর্ভোগ লাঘবে খরাখালিতে একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। দু’টি গার্ডারও নির্মাণ করে। ইতোমধ্যেই তৎকালীণ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলক্রসিং করে রাস্তা নির্মাণের আপত্তি করে। পাল্টা-পাল্টি মামলার একপর্যায়ে ব্রিজ নির্মাণ ও রাস্তার উন্নয়ন ভেস্তে যায়।
দেশ স্বাধীনের পর ৯০ দশকে খরাখালিতে নি¤œমানের একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি পথচারী-মোটর সাইকেল পারাপার ছাড়া কোন কাজে আসেছে না। এই ব্রিজ দিয়ে ভড়ভড়ি/নছিমন গাড়িও চলাচল করতে পারে না। কিছু লোক রাস্তার উপর ঘর তুলেছে। ফলে কৃষিপণ্যসহ আনুসাঙ্গিক মালামাল বেচা-কেনায় মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুধু যানবাহন চলাচলের অনুপযোগির অজুহাতে মুমূর্ষু রোগির চিকিৎসার জন্য ডাক্তার কিংবা ছেলে-মেয়েদের ভাল পাত্র-পাত্রীর সম্বন্ধও আসে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাথাকায় এই এলাকার মানুষ বিশেষ করে মহিলারাও শিক্ষা গ্রহণে অনিহা।
এরশাদ সরকারের তৎকালীণ ধর্মসচিব আলহাজ এম.এ. রশিদ চিশতী নিজামীর হস্তক্ষেপে একটি বিকল্প সিএন্ডবি রাস্তা নির্মিত হয়। যা এখন বিশ্বরোডে রুপান্তরিত হয়েছে। এরপরও এই ডিস্ট্রিক্টপোর্ট রাস্তার গুরুত্ব কমেনি। বিশ্বরোড হয়ে যতক্ষণে মেলান্দহ শিমুলতলী পৌঁছবে; ডিস্ট্রিক্টপোর্ট রাস্তায় নলেরচর তালতলা ঘুন্টিঘর হয়ে ইসলামপুরের কাছাকাছি যাওয়া যাবে। মজার বিষয় হচ্ছে শুধু তালতলা থেকে মেলান্দহ রেলস্টেশন পর্যন্ত যেতেই সাড়ে ৩কি:মি: রাস্তা কমে যাবে। স্থানীয়দের হুমায়ুন কবির সোনাহার এই রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় মির্জা আজমসহ সংশ্লিষ্টদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঝতা জানিয়েছেন।

তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ২৯ কার্তিক ১৪২৪

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝