শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

মৎস্য চাষীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি, দিশেহারা কৃষকের পাশে নেই কেউ!
প্রকাশ: রোববার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
মৎস্য চাষীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি, দিশেহারা কৃষকের পাশে নেই কেউ!

মৎস্য চাষীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি, দিশেহারা কৃষকের পাশে নেই কেউ!

রায়হানুল ইসলাম, তাজাখবর২৪.কম,  বগুড়া: বগুড়ার ধুনটে বন্যার পানি প্রবেশ করে পুকুর,খাল-বিল ডুবে এবং ধান পচে মাছ মরে যাওয়ায় মৎস্য চাষীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক। তাদের পাশে যেন নেই কেউ! দেনার দায়ে এলাকা ছেড়েছে অনেক মৎস্য চাষী । তারা সরকারী সহায়তা দাবি করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উপজেলা কৃষি অফিসে ধর্ণা দিলেও তাদের কোন কিছু করণীয় নেই বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ২-৩টি ইউনিয়নে প্রাথমিক তদন্তে আমরা ২৮ হেক্টর জমির (পুকুর) মাছ চাষীদের তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি একই সাথে আনুমানিক ৪২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি দাবি করেন এ সংখ্যা ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়তে পারে কারণ এখনো উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের তথ্য আমরা পাইনি। সরে জমিনে গিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার ধুনটে বাঙ্গালী নদীতে আকর্ষিক বন্যায় আবাদি জমির ফসলসহ ক্ষতি হয়েছে মৎস চাষীদের জলাশয়। আগস্ট ২০১৭তে হঠাৎ করে বাঙ্গালী নদীতে আকর্ষিকভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ক্ষতি হয়। সরজমিনে দেখা যায়,  ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা বেড়েরবাড়ি গ্রামের ভুলু প্রামানিকের ছেলে আব্দুল জলিল কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগড় গ্রামে একটি জলাশয় নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন।  তার জলাশয়ে প্রয়োজনীয় জাল, খাদ্যসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিলো ধারের টাকায়। চলতি বছরে আকর্ষিক বন্যায় তার জলাশয় প্লাবিত হয়ে সবগুলো মাছ বেরিয়ে যায়। আব্দুল জলিলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি ছোট বেলা থেকে মাছ ক্রয়/বিক্রয় ও মাছ চাষ করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছেন। চলতি বছরে বন্যার পানিতে তার যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা পুশিয়ে উঠা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সরকারের মৎস অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত ফিশারম্যান আইডি কার্ড প্রাপ্ত হবার পরেও কোন সহযোগীতা পাননি। তার মতো অনেকই এখন পথে বসে দিশেহারা। অনেকেই আবার দেনার দায়ে এলাকা ছেড়েছেন বলে বিশস্তসূত্রে জানা গেছে। আব্দুল জলিল স্থানীয় মৎস্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করেন। বর্তমানে তিনি কালেপাড়া ইউনিয়নে হেউটনগর গ্রামে বসবাস করে তার একমাত্র আয়ের উৎস মৎচাষের জলাশয় দেখা শোনা করছেন। তিনি বলেন, সরকারি ভাবে আমাকে যদি সাহায্য সহযোগীতা করতো তাহলে আমার অপুরনীয় ক্ষতি কিছুটা হলেও পুশিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারতাম। এরকম অনেক কৃষকই মৎস্য দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।  

তাজাখবর২৪.কম,ঢাকা রোবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ , ২ আশ্বিন ১৪২৪

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝