শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

মৌলভীবাজারে ঐতিহাসিক বালিশিরা দিবস পালিত
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজারে ঐতিহাসিক বালিশিরা দিবস পালিত -ফাইল ফটো-

মৌলভীবাজারে ঐতিহাসিক বালিশিরা দিবস পালিত -ফাইল ফটো-

বেলাল তালুকদার, তাজাখবর২৪.কম,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক বালিশিরা দিবস। ঐতিহাসিক বালিশিরা দিবসের ৫৫ তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় শহরের কোর্টরোডস্থ এনডিএফ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক  অবনী শর্ম্মার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভার শুরুতে বালিশিরা দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বালিশিরা আন্দোনের অন্যতম নেতা মফিজ আলীর লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক, কৃষক সংগ্রাম সমিতি জেলা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক প্রবীণ কৃষকনেতা রমজান আলী পাখি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ্য তারেশ বিশ্বাস সুমান ও রাফকুল ইসলাম রাজিব প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার বালিশিরার কৃষকরা পাহাড়ে অধিকার রক্ষার দাবিতে ১৯৬৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাড়ি ফেরার পথে কালিঘাট চা বাগানের সামনে ‘টি ডেভেলাপমেন্ট কমিটির’ মদদে পুলিশ অতর্কিত গুলিবর্ষণ করলে টগবগে যুবক ছালিক ও বৃদ্ধ গণু মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। নিহতদের লাশও পুলিশ গুম করে ফেলে, শুরু হয় সমস্ত এলাকায় ব্যাপক পুলিশী নির্যাতন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার  প্রতিবাদে ১৯৬৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শিববাড়ি মাঠের এক জনসভায় গণু মিয়া ও ছালিককে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ একবছর বালিশিরা পাহাড়ে কৃষকদের আন্দোলন চলে।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন- দেশে গৃহহীন, ভূমিহীন ও গরীব কৃষকের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলছে আর অন্যদিকে লুটেরা শ্রেণির সম্পদ ফুলে-ফেপে উঠছে। সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের মাত্রাতিরিক্ত মূল্যের কারণে কৃষি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ কৃষক উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য পাচ্ছেন না। আবার এই ফসল ফড়িয়া, আড়তদার, মজুতদার তথা মধ্যসত্ত¡ভোগীরা লুটপাট করে মূল্য বাড়াচ্ছে।  কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে রাস্তায় ফসল ফেলে  বছল বছর বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই প্রতিকার হচ্ছে না। সরকার “উন্নয়নের জোয়ারের” কথা বললেও কৃষকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কৃষক তথা আপামর জনসাধারণকে বাঁচাতে হলে কৃষক জনগণের জরুরী দাবি-দাওয়া এবং জাতীয় জীবনের জরুরী সমস্যা নিয়ে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে আপোষহীন দূর্বার কৃষক আন্দোলন। বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বিতরণ, গরীব কৃষকদের সারা বছর কাজ, কৃষি উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবের দাম কমানো, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, নদ-নদী, খাল-বিল খনন, ভেজাল সার ও বীজ বিক্রি বন্ধ, সর্বস্তরে সল্পমূল্যে রেশনিং চালুসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে চলছে। বালিশিরা আন্দোলনের ঐতিহাসিক শিক্ষা- সংগঠিত আন্দোলন ছাড়া বিজয় অর্জন করা যায় না। কৃষকদের স্বার্থে আদর্শ ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলে পরিকল্পিত আন্দোলন সংগ্রামের পথে অগ্রসর হয়ে বিজয় অর্জন করতে হবে।


তাজাখবর২৪.কম: ঢাকা মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ৮ ফাল্গুন ১৪২৪

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০৮৮-০২-৫৭১৬০৭২০, মোবাইল: ০১৮১৮১২০৯০৮, ই-মেইল: [email protected], [email protected]
সম্পাদক: কায়সার হাসান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আর কে ফারুকী নজরুল, সহকারি সম্পাদক: জহির হাসান,নগর সম্পাদক: তাজুল ইসলাম।
ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: মডার্ণ ম্যানশন (১৫ তলা) ৫৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
🔝